ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: ৬ষ্ঠ হিজরিতে বিশ্বনবী (সা.) ১৪০০ (চৌদ্দশত) নিরস্ত্র সাহাবি নিয়ে মদিনা থেকে বাইতুল্লাহ জিয়ারতে রওয়ানা হয়ে হুদাইবিয়া নামক স্থানে আসলে মক্কার কাফের পৌত্তলিকরা তাঁকে মক্কা প্রবেশে বাধা দেয়। বিশ্বনবির এ সফরের উদ্দেশ্য ছিল বাইতুল্লাহ জিয়ারাত, তাওয়াফ এবং নামাজ আদায়।
কোনো প্রকার যুদ্ধ-বিগ্রহ চিন্তা ছিল না। এ কথা জানানো সত্ত্বেও পৌত্তলিকরা বিশ্বনবিকে বাইতুল্লায় প্রবেশে বাধা দেয়।
যার ফলে আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর তার চেয়ে বড় জালেম কে হবে, যে আল্লাহর ঘরে তাঁর নাম স্মরণ করা থেকে মানুষকে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চালায়, এই ধরনের লোকেরা এসব ইবাদাত গৃহে প্রবেশের যোগ্যতা রাখে না।
আর যদি কখনো প্রবেশ করে, তাহলে ভীত-সন্ত্রন্ত অবস্থায় প্রবেশ করতে পারে। তাদের জন্য রয়েছে এ দুনিয়ার লাঞ্ছনা এবং আখিরাতের বিরাট শাস্তি। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১১৪)
মসজিদে প্রবেশে বাধা প্রদান শুধু ইসলামের প্রাথমিক যুগেই হয়নি বরং যুগ যুগ ধরে মসজিদে প্রবেশে বাধার কার্যক্রম চলে আসছে, এখনো চলছে, ভবিষ্যতেও ইসলাম বিদ্বেষীরা এ কাজ অব্যাহত রাখবে।
আর তাদের ব্যাপারেই কুরআনে দুনিয়ার লাঞ্ছনা-অপমান এবং পরজগতের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে এই ধরণের অপরাধ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
0 comments:
Post a Comment