শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে বাধার প্রধান কারন হচ্ছে বায়ু দূষন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শহর অঞ্চলে বাস করা শিশুদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা মফস্বল এলাকায় বাস করা শিশুদের তুলনায় চার থেকে পাঁচ শতাংশ কম হয়। এর কারণ বায়ুদূষণ।
ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে রয়েছে মানসিক অস্বাভাবিকতা, কমাতে পারে ‘আইকিউ’, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
ভারতের স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের ‘ইন্টার্নাল মেডিসিন’ বিভাগের প্রধান এসপি. বত্রা বলেন, “ফলাফলটি দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে মস্তিষ্কের সুষ্ঠ বিকাশ অনিবার্য। বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো শিশুদেরই বেশি ক্ষতি করে। কারণ শরীরের আকারের তুলনার শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেশি, পাশাপাশি বাতাসের ক্ষতিকর উপাদানগুলো থেকে রক্ষা করার ক্ষমতাও এসময় ফুসফুসের কম থাকে।”
বত্রার দাবি, “ঘরের ভেতরের পরিবেশও শিশুর জন্য পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কারণ সিগারেটের ধোয়া, রং ও খেলনায় থাকা দস্তা, চুলার ধোয়া, বিভিন্ন মাইকোটক্সিন ইত্যাদি ঘরোয়া দূষিত উপাদানও শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের পথে অন্তরায়।”
পিএলওএস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়, “বায়ুদূষণে শুধু শ্বাসযন্ত্রেরই ক্ষতি করে না, সব বয়সের শিশু, এমনকি মায়ের গর্ভে থাকা শিশুরও মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত করে।”
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, “ঘরে-বাইরে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থের সংস্পর্শে আসা অসংখ্য শিশুর মস্তিষ্কগত বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। এদের মধ্যে তামাক পোড়া ধোঁয়া ও ছাই, ঘরের ভেতরের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ, ভাসমান ‘পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন’ সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে।”
ভাল্লাভাই পাটেল চেস্ট ইনস্টিটিউটের ‘রেসপিরেটরি অ্যালার্জি অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড ইমিউনোলজি’ বিভাগের প্রধান রাজ কুমার বলেন, “ঘরোয়া বিষাক্ত পদার্থগুলো নিঃশব্দে শরীরে প্রবেশ করে এবং ভেতর শরীরের ক্ষতি করে। এগুলোর ক্ষতির মাত্রা বাইরের বিষাক্ত পদার্থের মতই। ঘরেই যেহেতু সময় বেশি কাটে, তাই ঝুঁকিটা এখানেই বেশি।”
পেডিয়াট্রিকস জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় আরও দেখা যায়, গর্ভধারণ করা অবস্থায় মায়ের বায়ুদূষণের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মেধা কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।
All Crack Software Latest updated Version Free Download Here........thanx
ReplyDeleteDropbox Crack
Camtasia Studio Crack
Microsoft Office Crack
https://sanicrackpc.com/