অনলাইন ডেস্ক:
স্বর্ণ পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে৷ সম্পত্তি হিসাবেও স্বর্ণ বেশ মূল্যবান৷ তবে স্বর্ণ আরও অনেক কাজে লাগে৷ জেনে নিন সেরকমই কয়েকটি মজার তথ্য।
চিকিৎসাকাজে স্বর্ণ
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগীদের চিকিৎসায় তাদের হাড়ের জোড়ায় স্বর্ণ মিশ্রিত লবণ লাগালে উপকার পাওয়া যায়৷ এছাড়া যেসব জায়গায় প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে প্রোস্টেট ক্যানসার ও এইচআইভি-র মতো রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না সেখানে স্বর্ণ ব্যবহার করা যায়৷ কয়েক ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসায় রেডিওথেরাপি দিতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হিসাবেও স্বর্ণের ব্যবহার রয়েছে৷
মহাকাশ থেকে এসেছে?
‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, স্বর্ণ সহ বিশ্বে যেসব মূল্যবান ধাতু রয়েছে সেগুলো মহাকাশ থেকে এসেছে! পৃথিবী গঠনের প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছর পর কয়েকটি উল্কাপিণ্ডের মধ্যে সংঘর্ষের পর ধাতুগুলো পৃথিবীতে আসে৷ অনেক পুরনো পাথরের নমুনা পরীক্ষা করে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন৷
দক্ষিণ আফ্রিকায় সোনার খনি
বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ স্বর্ণের উৎস দক্ষিণ আফ্রিকা৷ এর মধ্যে ৭৮ শতাংশ ব্যবহার হয় অলংকার তৈরিতে৷ ইলেকট্রনিকস শিল্পে ব্যবহৃত হয় প্রায় ৩২০ টন স্বর্ণ৷
আমরা স্বর্ণ ফেলে দিচ্ছি!
স্মার্টফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের দাম হাতের নাগালে চলে আসায় আমি, আপনি এখন কদিন পরপর পুরনোগুলো ফেলে দিয়ে নতুন কিনছি৷ এভাবে, এক অর্থে কিন্তু আমরা সোনাই ফেলে দিচ্ছি৷ কেননা ঐ সব গ্যাজেট তৈরিতে সোনা ব্যবহার করা হয়েছে৷ জাতিসংঘের এক হিসেব বলছে, ফেলে দেয়া এক টন ফোন থেকে প্রায় ৩৪০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়৷
ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়াজাতকরণ
খনি থেকে সোনা উত্তোলনের পর সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে সোডিয়াম সায়ানাইড ব্যবহার করা হয়৷ এর ফলে যে বর্জ্য উৎপন্ন হয় সেগুলো সতর্কতার সাথে অপসারণ না করলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে৷


0 comments:
Post a Comment